সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত-জেনে নিন
আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ হন তাহলে আপনার অবশ্যই সাজেক ভ্যালি যাওয়া উচিত।তবে আপনার জানা উচিত সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত।
আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাকে জানাবো সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত এবং সাজেক ভ্যালি কতটা সুন্দর। চলুন সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
পোস্ট সূচীপত্রঃ সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত
- সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত
- সাজেক ভ্যালির বৈশিষ্ট
- সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
- সাজেক ভ্যালির আকর্ষণীয় স্থানসমূহ
- সাজেক ভ্যালির ইতিহাস ও নামের উৎপত্তি
- সাজেক ভ্রমণের সেরা সময়
- সাজেক ভ্যালির খাবার ও স্থানীয় রান্না
- সাজেকে ঘুরে দেখার সেরা টিপস
- সাজেক ভ্রমণের খরচ ও পরিকল্পনা
- লেখকের মন্তব্যঃ সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত
সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থান। আপনি যদি ভেবে থাকেন
সাজেক ভ্যালি ঘুরতে যাবেন তাহলে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেননা সাজেক ভ্যালি
খুবই সুন্দর ও মনোরম পরিবেশময় জায়গা তবে আপনাকে জানতে হবে সাজেক ভ্যালি
কোথায় অবস্থিত। আজকে এই পোস্টে আমরা সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো
যেন সাজেক ভ্যালি ঘুরতে গিয়ে কোন প্রকার সমস্যা না হয়।
আরো পড়ুনঃ মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায়
সাজেক ভ্যালি হল বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত। এটি একটি পাহাড়ি
অঞ্চল, এটি রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত। এবং এটি
বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বা ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্তের
কাছাকাছি। সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার
দূরত্বে। এবং খাগড়াছড়ি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এটি
একটি পার্বত্য এলাকা। নিচে আমরা ধাপে ধাপে সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে বিস্তারিত
জানব।
সাজেক ভ্যালির বৈশিষ্ট
সাজেক ভ্যালির বৈশিষ্ট্য খুবই মনোমুগ্ধকর। এই সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের
অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে সব সময় প্রচুর পরিমাণে পর্যটকের
ভিড় হয়। তবে শীতকালীন সময়ে সাজেক ভ্যালি আরো সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর হয়ে
ওঠে ফলে শীতকালে পর্যটকদের সংখ্যা আরো বেড়ে যায়। আসুন জেনে নেই সাজেক
ভ্যালির মনমুগ্ধকর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি।
সাজেক ভ্যালির বৈশিষ্ট্যঃ
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
- মেঘের রাজ্য
- পাহাড়ে সংস্কৃতি
- নির্মল পরিবেশ
- পাহাড়ি রাস্তা ও রোমাঞ্চকর যাত্রা
- পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান
- আবহাওয়া বৈচিত্র ইত্যাদি
সাধারণত এ সকল বৈশিষ্ট্যের কারণে সাজেক ভ্যালি একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে
উঠেছে।
সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
আমরা অনেকেই শুনেছি সাজেক ভ্যালি একটি পর্যটন কেন্দ্র কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা
সাজেক ভ্যালি কতটা সৌন্দর্যময় স্থান। তবে এখন আমি আপনাদের জানাবো
সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কতটা রোমাঞ্চকর। সাজেক ভ্যালি হল
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক দিয়ে সত্যিই অতুলনীয়। সাজেক ভ্যালি মহান
সৃষ্টিকর্তার এক অপূর্ব সৃষ্টি। শীতকালীন সময়ে সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য আরো
বেড়ে যায়।
সাজেক ভ্যালিতে আপনি প্রকৃতির অতুলনীয় সৌন্দর্য দেখতে পাবেন। এখানে রয়েছে
মেঘেদের রাজত্ব। সাজেকে ঘুরতে গেলে আপনি আপনার হাতে মেঘ ধরতে পারবেন মনে হবে
যেন আপনি মেঘের ভিতরে রয়েছে। এটি একটি সবুজ বনানী ও ঝর্ণাধারা। এখানে
আপনি দেখতে পাবেন পাহাড়ের গায়ে ছড়িয়ে থাকা ঘন সবুজ বন এবং ছোট ছোট ঝর্ণাধারা।
বৃষ্টির মৌসুমে এগুলো আরো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। সাজেক ভ্যালিতে সকাল ও বিকালে
নানা প্রজাতির পাখির গান শোনা যায়।
আবার আপনি সেখানে দেখতে পাবেন পাহাড়ি সকল সংস্কৃতি। যেমন পাংখোয়া,
লুসাই, ত্রিপুরা ইত্যাদি। তাদের জীবনধারা পর্যটকদের কাছে খুবই
আকর্ষণীয়। সাজেক ভ্যালিতে আপনি সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখে মুগ্ধ হয়ে
যাবেন। তখন আকাশের রং, মেঘের ছায়া ও আলো অন্ধকারের খেলা সাজেককে
অসম্ভব সুন্দর করে তোলে।
সাজেকে রয়েছে নির্মল বাতাস, নীল আকাশ, আর রাতগুলো তারা ভরা
প্রকৃতির যা মানসিক প্রশান্তি আনে। আর সেখানকার পাহাড়ের রাস্তাগুলো
এতটা সুন্দর যা বলে বোঝানো যাবে না। সেখানকার রাস্তা পাহাড় বেয়ে উপরে
উঠেছে। সাজেকের আবহাওয়া প্রতিমুহূর্তে রূপ বদল করে। কখনো
রোদ, কখনো বৃষ্টি আবার কখনো মেঘাচ্ছন্ন আকাশ যা সাজেককে আরো আকর্ষণীয় করে
তোলে।
সাজেক ভ্যালির আকর্ষণীয় স্থানসমূহ
আমরা জানলাম সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত, সাজেক ভ্যালির বৈশিষ্ট্য এবং
সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তবে আমাদের জানতে হবে সাজেক ভ্যালির
আকর্ষণীয় স্থানসমূহ গুলো কি কি যাতে সেখানে ঘুরতে গেলে সেই আকর্ষণীয় স্থানগুলো
ঘুরে দেখতে পারি। তাহলে চলুন। জেনে নেই সাজেক ভ্যালির আকর্ষণীয়
স্থানগুলো কি কি।
সাজেক ভ্যালির আকর্ষণীয় স্থানসমূহঃ
- রুইলুই পাড়া
- কংলাক পাড়া
- হেলিপ্যাড ভিউ পয়েন্ট
- কংলাক পাহাড়
- সাসার পাড়া ও দার্জিলিংপাড়া
- কাঁচালং নদী
- সাজেক ভ্যালি ভিউ পয়েন্ট
- লুংতই পাহাড় ইত্যাদি
সাজেক ভ্যালির ইতিহাস ও নামের উৎপত্তি
সাজেক ভ্যালির ইতিহাস ও নামের উৎপত্তি সেখানকার আকর্ষণীয় ও প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের সঙ্গে জড়িত। এখন আমরা সাজেক ভ্যালির ইতিহাস ও নামের
উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব। সাজেক ভ্যালির ইতিহাস
জানলে আপনি খুবই অবাক হবেন। এই সাজেক ভ্যালি
ছিল এক শান্ত, নিরিবিলি পাহাড়ি অঞ্চল। যেখানে বসবাস করত বিভিন্ন
আদিবাসী জনগোষ্ঠী যেমনঃ পাংখোয়া, লুসাই, ও ত্রিপুরারা।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়
সাজেক ভ্যালি নামের উৎপত্তি কিভাবে হলো সেটা জানে আসুন সেটা জানি। সাজেক
নামটি এসেছে সেখানকার প্রবাহিত নদীর নাম থেকে। এই নদীটি বাংলাদেশের মিজোরাম
সীমান্তর থেকে উৎপন্ন হয়ে কাচালং নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মূলত এই কারণেই
এই উপত্যকার নাম সাজেক ভ্যালি রাখা হয়েছে। ২০০৮ সালের পর থেকে সাজেক ভ্যালি
পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
বাংলাদেশের মানুষকে মুগ্ধ করে তুলেছে।
সাজেক ভ্রমণের সেরা সময়
আমাদের এটাও জানা উচিত সাজেক ভ্রমণের সেরা সময় কখন। সাধারণত সবসময়ই সাজেক
ভ্যালি খুবই আকর্ষণীয় থাকে। তবে শীতকালীন সময়ে সাজেক ভ্যালি এক অসম্ভব
সুন্দর রূপ ধারণ করে। মনে হয় সৃষ্টিকর্তা যেন পৃথিবীতে এক টুকরো জান্নাতের
আভাস দিয়েছেন। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস এর মধ্যে সাজেক ভ্যালি যাওয়া উচিত এ
সময় সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়।
তবে কনকনে শীতে আপনার ভ্রমণের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই হালকা শীত ও
হালকা কুয়াশা ভরা আবহাওয়ায় সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করা উচিত। শীতকালে
সাজেক ভ্যালি আরো সৌন্দর্য হয়ে ওঠার কারণ হলো ঘন কুয়াশা। এই পরিবেশ যেন
পর্যটকদের কাছে মনমুগ্ধকর ও রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করে। এ সময় আপনি
পাহাড় থেকে মেঘ ধরতে পারবেন এবং শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ার সাথে সাজেক ভ্যালির
সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। তাই শীতকাল সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের সেরা
সময়। তবে গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকালেও সাজেক ভ্যালি ভিন্ন ধরনের রূপ ধারণ
করে।
সাজেক ভ্যালির খাবার ও স্থানীয় রান্না
সাজেক ভ্যালির খাবার ও স্থানীয় রান্না সেখানকার পাহাড়ি সংস্কৃতি প্রাকৃতিক
জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলে। আপনি যদি সাজেক ভ্রমনে যান তাহলে শুধু
সেখানকার সৌন্দর্যই নয় সেখানকার খাবারের স্বাদও আপনাকে মুগ্ধ করবে। সেখানকার
খাবার শহরের খাবারের থেকে ভিন্ন সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ি খাবার
দেখতে পাবেন। সেখানকার মানুষ বাঁশের তৈরি খাবার, ঝালমশলাহীন তরকারি, ধোঁয়া
দেয়া মাংস ও শাকসবজি বেশি পছন্দ করে।
সাজেক ভ্যালির একটি জনপ্রিয় ও স্থানীয় খাবার হল বাসের ভেতর রান্না (Bamboo
Chiken / Bamboo Fish)। তারা সাধারণত মাছ, মুরগি বা বিভিন্ন সবজি
বাঁশের ভেতরে মসলা দিয়ে রান্না করে। সাজেকের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হল
পাহাড়ি মাছের ঝোল। সাধারণত এটি স্থানীয় নদী ও ঝর্ণা থেকে ধরা ছোট মাছ
দিয়ে তৈরি করা হয়। এখানকার আরেকটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হল ধোয়া দেওয়া
মাংস। শুকিয়ে রাখা গরু ছাগলের মাংস তারা ধোঁয়া দিয়ে সংরক্ষণ করে এবং
পরবর্তীতে তা রান্না করে। এটি পাহাড়ের জনগোষ্ঠীর
ঐতিহ্যবাহী খাবার।
সাজেক ভ্যালির পাহাড়ি ভাত ও শাকসবজি জানতে চান। সেখানে পাহাড়ে
চাষ করা লালচে চালের ভাত, বাঁশকোড়ল, বন্য শাক ও কচু শাকের তরকারি
তাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ও সাধারণ খাবার। সেখানকার লেবু চা ও আদা
চা সেখানকার আবহাওয়ার সাথে দারুন উপভোগ করা যায়। সাজেক ভ্যালিতে আপনি
বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ি পিঠা ও শুকনা খাবার পাবেন।
সাজেকে ঘুরে দেখার সেরা টিপস
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের একটি অন্যতম সুন্দর পাহাড়ি পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু
যেহেতু এটা একটি পাহাড়ি ও সীমান্তবর্তী এলাকা তাই এখানে ভ্রমণ করার
জন্য কিছু বিষয় জানা জরুরী। তাই সাজেক ভ্রমণের আগে সাজেকে ঘুরে দেখার
টিপস গুলো জানা উচিত। সর্বপ্রথম সাজেক ভ্রমণের জন্য সঠিক
সময় নির্বাচন করা উচিত। নভেম্বর থেকে মার্চ মাসে সাজেক ভ্রমণ সেরা
সময় সে সময় হালকা শীত পড়ে।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমনের জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা উচিত এতে ভ্রমণে কোন
প্রকার সমস্যা হবে না। সাজেক ভ্যালি যেতে হলে প্রথমে খাগড়াছড়ি যেতে
হবে এরপর সেখান থেকে দিঘীনালা হয়ে সাজেকে প্রবেশ করতে হবে। খাগড়াছড়ি
থেকে সাজেক যাওয়ার সময় জীপ ভাড়া নিতে হয়। সেখানকার জীপ চাঁদের
গাড়ি নামে পরিচিত। সাজেকে থাকার জায়গা আগে থেকেই বুক করে
রাখুন। সাজেক ভ্যালিতে বিভিন্ন রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে যেগুলো আগে থেকে বুকিং
না রাখলে ছুটির দিনে অথবা জায়গা না পেলে অনেক অসুবিধা হয়। তাই অনলাইনে আগে
থেকেই হোটেল বুকিং করে রাখা উচিত।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহী টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
সাজেক ভ্যালি ঘুরার জন্য সকালে ওর বিকালে সময় ঠিক করুন। ভোরে সূর্যোদয় ও
বিকেলে সূর্যাস্ত সাজেকের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত। যাওয়ার আগে
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখুন। যেমনঃ গরম কাপড়, চার্জার ও
পাওয়ার ব্যাংক, টর্চলাইট ও প্রয়োজনীয় ঔষধ, শুকনো খাবার ও
পানির বোতল। কেননা সাজেক ভ্যালি ঘুরার সময় এগুলোর প্রয়োজন
হয়। এবং সাজেক ভ্যালিতে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দেয় তাই সেখানে রবি ও
এয়ারটেল সিম ব্যবহার করুন। এই দুই সিমে সেখানে খুব ভালো নেটওয়ার্ক
দেয়। সাজেকের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর
প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। তাদের সংস্কৃতি, পোশাক ও ছবি তুলতে
হলে আগে অনুমতি নিন। সাধারণত এই কয়েকটি বিষয় মনে রাখলেই সাজেক ভ্রমণ হবে
স্মরণীয় ও আনন্দময়।
সাজেক ভ্রমণের খরচ ও পরিকল্পনা
ভ্রমণের খরচ ও পরিকল্পনা আগে থেকেই করে রাখলে ভ্রমণ হয় আরামদায়ক ও
আনন্দদায়ক।তাই সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করার পূর্বে খরচ ও যাত্রা পথ
সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব জরুরী।আপনি বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকে সাবেক ভ্যালি
যেতে পারবেন তবে তার জন্য আপনাকে প্রথমে রাঙ্গামাটিতে যেতে হবে এরপর
খাগড়াছড়ি তারপর দীঘিনালা থেকে সাজেক ভ্যালি প্রবেশ করতে হবে।
প্রথমে আপনাকে রাঙ্গামাটি আসতে হবে এরপর সেখান থেকে
খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার পথে আপনাকে জীপ বা চাঁদের
গাড়িতে যেতে হবে। চাঁদের গাড়ির ভাড়া ৮০০০ থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত।
সাধারণত সেই গাড়িতে ৮ থেকে ১০ জন যেতে পারবেন। ফলে মাথাপিছু ৮০০ থেকে ১২০০
টাকা পর্যন্ত ভাড়া হতে পারে। এরপর সাজেকে থাকার জন্য রিসোর্ট বা কটেজ
বুক করতে হবে। সাধারণত ১৫০০-২৫০০ টাকার মধ্যে সাধারণ ডবল রুম
পাবেন। মাঝারি রিসোর্ট ৩০০০-৫০০০ টাকা এবং বিলাসবহুল রিসোর্ট
৬০০০-১০০০০ টাকা পর্যন্ত। এখানে তিন থেকে চারজন একসঙ্গে থাকতে
পারবেন।
সেখানকার খাবার খরচ সকালের নাস্তা ১০০-২০০ টাকা, দুপুর বা রাতের খাবার
২৫০-৫০০ টাকা। দিনে গড়ে একজনের খাবার খরচ প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা
পর্যন্ত। আরো অন্যান্য দিনে ৫০০ টাকা খরচ হতে পারে। সবমিলিয়ে
আনুমানিক দুই দিন এক রাতে খরচ হতে পারে ৫০০০ থেকে ৭৫০০ টাকা পর্যন্ত।
লেখকের মন্তব্যঃ সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত
পুরো পোষ্ট জুড়ে আমরা সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত এবং সাজেক ভ্যালির বিভিন্ন
বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের একটি
অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এই সাজেক ভ্যালিতে প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের ভিড়
হয়। সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার একটি পাহাড়ি
অঞ্চল।
আমার মতে আপনি যদি কোথাও ভ্রমণ করতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ
করবেন। কারণ এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দরতম পর্যটন কেন্দ্র। আপনার
কাছে যদি দশ হাজার টাকা থাকে তাহলে আপনি চাইলে সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য উপভোগ
করতে পারেন। আমি আপনাদের সাজেস্ট করব সাজেক ভ্যালি ভ্রমণে গেলে নভেম্বর থেকে
মার্চ মাসের মধ্যে হালকা শীতের মধ্যে ভ্রমনে যাবেন। পোস্টটি আপনাদের
কাছে কেমন লেগেছে তা কমেন্টে জানাবেন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url